চতুর্থ দিনের মতো ইউক্রেনে রাশিয়ার সর্বাত্মক হামলা চলছে। যদিও খারকিভ এবং ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে রুশ সেনাদের। এই দুই জায়গায় জোর লড়াই চলছে দু’পক্ষের সেনার মধ্যে। একের পর এক রকেট হামলা চালিয়ে খারকিভে গ্যাস পাইপলাইন উড়িয়ে দিয়েছে রুশ সেনা।
আল জাজিরা ও বিবিসি জানিয়েছে, রাজধানী কিয়েভের নিকটবর্তী ভাসিলকিভ শহরের একটি তেলের ডিপোতে মিশাইল হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে শহরে বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় নাগরিকরা কিয়েভের দিকে পালাচ্ছেন।
এদিকে ইউক্রেনে হামলার পরই রাশিয়ার ওপর বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। এবার আর্থিক লেনদেনের বার্তা আদান-প্রদানকারী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সুইফট পেমেন্ট নেটওয়ার্ক থেকে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পশ্চিমা নেতারা।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছে।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, “রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থা এবং বৈশ্বিক অর্থনীতি থেকে আরও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।”
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ন ডার লেন বলেন, “আমরা রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংককে পঙ্গু করে দেব। এ পদক্ষেপের ফলে রাশিয়ার ব্যাংকগুলো বিশ্বব্যাপী তাদের বেশির ভাগ আর্থিক লেনদেন পরিচালনা করতে পারবে না। রাশিয়ার রপ্তানি-আমদানি কার্যত বন্ধ হয়ে যাবে।
উরসুলা ন ডার লেন আরও বলেন, “আমরা পুতিনকে তার যুদ্ধের তহবিল ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখব। রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদ পঙ্গু করে দেওয়া হবে। এতে ব্যাংকের লেনদেন স্থবির হয়ে পড়বে।”
এক টুইট বার্তায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, “আমরা আজ রাতে আন্তর্জাতিক মিত্রদের সঙ্গে বসে রাশিয়াকে বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থার বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যার মধ্যে রয়েছে সুইফট থেকে রাশিয়ান ব্যাংকগুলোকে বের করে দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ। খুব শিগগির এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হবে।”
সুইফট থেকে রাশিয়ার নাম বাতিলের পদক্ষেপের ফলে রাশিয়ার এসব ব্যাংক আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে এবং বিশ্বব্যাপী তাদের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষমতা কমে যাবে।